পানিতে ও মাটিতে জন্ম গ্রহণকারী একটি শাকের নাম হচ্ছে "কলমি শাক"।কলমি শাক বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চাষাবাদ করা হয়।এই শাক অধিকাংশ সময় ভাজি করে খাওয়া হয়।এছাড়াও খাটা করেও খাওয়া হয়। 

কলমি শাকের উপকারিতা,কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা,কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক,কলমি শাকে কি এলার্জি আছে,কলমি শাকের পুষ্টিগুণ,কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে,কলমি শাক এর ইংরেজি নাম,গর্ভাবস্থায় কলমি শাক,

 

কলমি শাক পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি শাক।এই শাক খেতেও অনেক সুস্বাদু।এই শাক বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে।  

কলমি শাকের পুষ্টিগুণ 

১০০ গ্রাম কলমি শাকে যেসব পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে তা নিচে দেওয়া হলোঃ

  • শক্তি ৭৯ কিলোজুল
  • প্রোটিন ২.৬ গ্রাম
  • ভিটামিন 'এ' ০.০৩ মি.লি গ্রাম
  • ভিটামিন 'বি' ০.০৯ মি.লি গ্রাম
  • ভিটামিন 'সি' ৫৫ মি.লি গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম ৭৫ মি.লি গ্রাম
  • লৌহ ১.৬৭ মি.লি গ্রাম
  • ফসফরাস ৩৯ মি.লি গ্রাম
  • ম্যাগনেশিয়াম ৭১ মি.লি গ্রাম
  • পটাশিয়াম ৩১২ মি.লি গ্রাম
  • জিংক ০.২ মি.লি গ্রাম
  • সোডিয়াম ১১৩ মি.লি গ্রাম
  • ফাইবার ২.১ মি.লি গ্রাম 

কলমি শাকের উপকারিতা


১. আমাদের সকলের একবার হলেও বসন্ত রোগ হয়েছে।এই রোগ জীবনে একবার হলেও হবেই।বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কলমি শাক ভালো কাজ করে থাকে।

২. কলমি শাকে ভালো পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।ক্যালসিয়াম মানবদেহের সকল হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে তুলে।হাড়তে শক্তিশালি করতে প্রায় প্রায় কলমি শাক খেতে হবে।

৩. কলমি শাক আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।কারণ কলমি শাকে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।এই এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কয়েকগুণ শক্তিশালি করে তুলে।

৪. শরীরে নতুন রক্ত তৈরিতে ও রক্তশূন্যতা দূর করতে কলমি শাক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।কলমি শাকে থাকা লৌহ ও পটাশিয়াম রক্ত বৃদ্ধিতে কাজ করে।

৫. কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা একটা মারাত্মক সমস্যা।নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।কলমি শাকে থাকা ফাইবার দ্রুত খাদ্য হজমে সহায়তা করে।

৬. অনেকের চোখের দৃষ্টিশক্তি কম হয়।রাতের বেলা ভালোমতো দেখতে পারে না।দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে কলমি শাক খাওয়া যেতে পারে।কারণ কলমি শাকে থাকা ভিটামিন 'এ' চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।

৭. প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে কলমি শাক খেতে পারেন।এজন্য কলমি শাকের কাঁচা পাতা নিয়ে বেটে সকালবেলা খেতে হবে।এভাবে কয়েক সপ্তাহ খেলে সমস্যা দূর হবে।

৮. শারীরিক দূর্বলতা দূর করতে ও শরীরকে শক্তিশালী করতে কলমি শাক খেতে পারেন।কলমি শাকে ভালো পরিমাণ শর্করা ও শক্তি বিদ্যমান থাকে।

কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে


কলমি শাকে ভিটামিন 'এ',ভিটামিন 'বি' ও ভিটামিন 'সি' বিদ্যমান থাকে।

গর্ভাবস্থায় কলমি শাক


গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।কারণ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলার প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের প্রয়োজন হয়।এই ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ কলমি শাক হতে ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়।       

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলার শরীরে পানি লেগে ফুলে যায়।এই সময় প্রতিনিয়ত কলমি শাক খেলে শরীর হতে পানি শুকে যায়।

আরও পড়ুন


   

কলমি শাক এর ইংরেজি নাম


কলমি শাকের ইংরেজি নাম হলোঃ (water spinach)।                         

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন