পুরুষের ধাতুর সমস্যা একটা মারাত্মক সমস্যা।এই সমস্যার কারণে অনেক পরিবারে অশান্তি বিরাজ করে।ধাতুর সমস্যার কারণে অনেক পরিবারে তো ডিভোর্স পর্যন্ত হয়ে যায়।
আগে জানতে হবে ধাতু কাকে বলে।অনেকে জানে আবার অনেকে জানে না যে ধাতু কাকে বলে।ধাতু বলতে পুরুষের বীর্য কে বুঝানো হয়।ধাতুর সমস্যা অনেকের হয় কেউ কেউ লজ্জায় বলতে পারে না।আজকের আমরা পুরুষের ধাতু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব।
প্রসাবের পর ধাতু বের হয় কেন
প্রসাবের আগে ও পরে ধাতু বের হওয়া মারাত্মক একটা সমস্যা।যখন দেখবেন প্রসাব করার সময় লিঙ্গ দিয়ে আঠালো পদার্থ বের হচ্ছে তখন বুঝবেন আপনার ধাতু সমস্যা আছে।
বীর্য অতিরিক্ত দূর্বল/পাতলা হলে প্রসাবের সময় লিঙ্গ কোনও নাড়াচাড়া ছাড়াই বীর্য বের হয়ে যায়।এখানে অনিচ্ছাকৃত ভাবে এখানে বীর্যপাত হয়।কেনও এই সমস্যা হয় নিচে দেওয়া হল।
ধাতু দূর্বল হওয়ার কারণ
বিভিন্ন কারণে আমাদের ধাতু দূর্বল হতে পারে।কমন যেসব কারণে ধাতু দূর্বল হয়ে থাকে।
- অল্প বয়স থেকে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন।বিয়ের আগে নারী সঙ্গী না পাওয়ার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে হস্তমৈথুন করলে বীর্য পাতলা হয়
- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ।স্বপ্নদোষ বলতে ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত হওয়াকে বুঝায়।অতিরিক্ত যৌন বিষয়ে চিন্তা করলে স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে
- অতিরিক্ত পর্ণগ্রাফি দেখা।পর্ণগ্রাফিতে পুরুষ ও মহিলার সেক্স দেখার কারণে নিজেরও সেক্স করার জন্য বিভিন্ন চিন্তা জাগে মনে।ফলে বীর্য/ধাতু পাতলা হয়ে থাকে
- সমকামিতায় লিপ্ত হলে।ইসলামের দৃষ্টিতে সমকামিতা সম্পূর্ণ হারাম কাজ।পুরুষে পুরুষে যৌন কর্ম করাকে সমকামীতা বলে।এই সমকামিতা করলে বীর্য পাতলা হয়
- ভরা পেটে সহবাস করা।খাদ্য খেয়ে কিছুক্ষণ পরেই ভরাপেটে স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে বীর্য পাতলা হয়
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।কোন বিষয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে বীর্য পাতলা হয়
- পেটের বিভিন্ন সমস্যা লাগাতার চললে বীর্য পাতলা হয়
- ঘুম কম হওয়ার কারণেও বীর্য পাতলা হয়ে থাকে
বীর্য পাতলা হলে কি হয়
বীর্য পাতলা হলে আপনি বিভিন্ন সমস্যায় ভূগতে থাকবেন।বীর্য পাতলা হলে আপনার যৌন দূর্বলতা সমস্যা হবে।আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করার সময় খুব অল্প সময়ে আপনার বীর্যপাত হয়ে যাবে।এতে আপনার স্ত্রী আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকবে।এতে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হবে।
বীর্য পাতলা হলে আপনার বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কম হবে।শুক্রাণুর সংখ্যা কম হওয়ার কারণে আপনি সন্তান জন্মদানে অক্ষম হবেন।
বীর্য পাতলা সমস্যা দীর্ঘদিন থাকলে পুরুষত্বহীনতায় ভূগবেন।এতে আপনার নারীর প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে।এমনকি নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাস করার সক্ষমতা থাকবেনা আপনার।
বীর্য পাতলা হলে আপনার চেহেরা শুকে যাবে।স্মৃতিশক্তি কমে যাবে।শরীর সবসময় ক্লান্ত লাগবে।সকল কাজকর্মে বিরক্তবোধ লাগবে।কারো সাথে কথাবার্তা বলা ও মেলামেশা করার শক্তি হারিয়ে ফেলবেন।
বীর্য ঘন করার খাবার
আমাদের শরীরের বীর্যকে আমরা বাড়িতে বসেই ঘন করতে পারি।অনেকে বিভিন্ন হারবাল,ভূয়া কবিরাজের শরণাপন্ন হয়ে টাকা-পয়সা নষ্ট করে।প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খেলে বীর্য ঘন হয় ও বীর্য দূর্বলতা দূর হয়।
মধু
মধু একটি খুবই উপকারী খাবার।মধুতে প্রাকৃতিক শক্তি বিদ্যমান।খাঁটি মধু নিয়মিত খেলে ধাতু দূর্বলতা দূর হয়।মধু প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই চা চামচ পরিমাণ খেতে হবে।এভাবে ২ সপ্তাহ খাওয়ার পরে এর উপকারিতা সম্পর্কে নিজেই বুঝতে পারবেন।
রসুন
আমাদের বেশিরভাগ তরিতরকারিতে খাওয়া একটা উপাদানের নাম হচ্ছে রসুন।রসুন আপনার বীর্য ঘন করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।রসুনে থাকে ঔষধি গুণ যা আপনার যৌন দূর্বলতাও দূর করবে।বীর্য ঘন করতে প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খেতে হবে।
বাদাম
প্রাচীন কাল থেকে যৌন রোগের জন্য ব্যবহৃত উপাদান হচ্ছে বাদাম।আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের বাদাম পাওয়া যায়।এরমধ্যে চিনাবাদাম ও কাজুবাদাম অন্যতম।
বাদাম আমাদের শরীরে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে।যা আমাদের বীর্যকে ঘন করতে সাহায্য করে।এরজন্য সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ৫০ গ্রাম করে বাদাম খেলে হবে।
ডিম
ডিম পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম।আমরা ডিম বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকি।ডিম যেকোনও ভাবেই খেলে এর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
ডিম হতে বেশি পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পেতে হলে যয়তুনের তেল দিয়ে ডিমের মামলেট করে খেতে হবে।এতে পুষ্টি উপাদান কিছুটা হলেও বেশি পাওয়া যায়।ডিমে থাকা ভিটামিন 'এ' ও ভিটামিন 'ই' বীর্যকে ঘন করে ও এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
ইসবগুলের ভুসি
পেটের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের শরীরের বীর্য পাতলা হয়ে থাকে।পেটের সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খুবই কার্যকরী।
ইসবগুলের ভুসি আমাদের পেট পরিষ্কার রাখে ও বীর্যকে ঘন করে তুলে।তাই ইসবগুলের ভুসি রাতে এক গ্লাস করে খেতে হবে।
দুধ
দুধ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী খাবার।দুধ হতে আমাদের শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে থাকে।দুধ আমাদের শরীরের বীর্যকে ঘন করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।প্রতিদিন এক গ্লাস করে রাতে দুধ খেলে বীর্য ঘন হতে বাধ্য।
কলমি শাক
কলমি শাক আমাদের সকলের পরিচিত ও উপকারি শাক।অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের কারণে আমাদের বীর্য পাতলা হয়ে থাকে।আর অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে কলমি শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কলমি শাক অতিরিক্ত স্বপ্নদোষকে বন্ধ করে ও বীর্য ঘন করে।এজন্য প্রতিদিন দুই চা চামচ পরিমাণ কলমি শাকের রস খেতে হবে।
আমলকি
আমলকি ফলটি ভিটামিন 'সি' এর অন্যতম উৎস।আমালকি আমাদের বীর্য ঘন করতে ভালো কাজ করবে।এজন্য কিছু পরিমাণ আমলকি নিতে হবে।তারপর সেগুলোকে বেটে তার রস বের করে নিতে হবে।সেই রস ভালো কোনও পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
পিয়াজ কুচিকুচি করে কেটে সকালবেলা আমলকি রসের সাথে মিশায়ে খেতে হবে।এাভাবে কিছুদিন খেলে বীর্য পাতলা সমস্যা দূর হবে।
ধাতু দুর্বলতার ঔষধের নাম
বীর্য পাতলা হলে উপরে দেখানো খাবার গুলো খেয়ে যদি ভালো ফল না পান তাহলে অবশ্যই যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।এছাড়া আপনারা বীর্যকে গাঢ় করার সেলেনিয়াম ৩ এক্স (selenium 3x) ব্যবহার করতে পারেন।এটা বিভিন্ন ফার্মেসি হতে সংগ্রহ করতে পারবেন।
আশাকরি সকলেই আজকের পোস্ট হতে ধাতু দূর্বল ও ধাতু ঘন করার খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
সেলেনিয়াম ৩ এক্স এটা কি যারা বিয়ে করছে তাদের জন্য না সবাই খেতে পারবে
উত্তরমুছুনএটা সবার জন্য
মুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন