ডাল একটি আমিষ জাতীয় খাবার।পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের মানুষ ডাল খেতে অত্যন্ত ভালোবাসে।আর বাংলাদেশের ৮৫% এর বেশি মানুষ ডাল খেতে ভালোবাসে।আমিষের চাহিদা পূরণে ডাল খুবই কার্যকরী ভুমিকা রাখে। 

খেসারি ডাল,খেসারি ডাল গাছ,খেসারি ডালের উপকারিতা,খেসারি ডালের দাম ২০২২,খেসারি ডালের দাম,খেসারি ডালের অপকারিতা,খেসারি ডালের ক্ষতিকর দিক,খেসারি ডালের পুষ্টিগুণ,খেসারি ডাল খেলে কি রোগ হয়,খেসারি ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা,খেসারি ডালে কি থাকে,

     

আমাদের দেশে অনেক ধরনের ডাল পাওয়া যায়।এরমধ্যে মশুর,মুগ,খেসারি,মটর,বিউলি,ছোলা ও মাসকালাই ইত্যাদি।

আমরা বেশির ভাগ ডাল খাওয়ার সময় মশুর ও মুগ ডাল খেয়ে থাকি।এরমধ্যে অনেক সময় খেসারি ও অন্যান্য ডাল খেয়ে থাকি। 

খেসারির ডাল অতিরিক্ত খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।খেসারি ডাল অতিরিক্ত খেলে একজন মানুষ পঙ্গু পর্যন্ত হতে পারে।বিভিন্ন দুর্ভিক্ষের সময় মানুষ খাবার হিসেবে খেসারি ডাল বেঁচে নিয়েছিলো।এই ডাল দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে তারা পঙ্গুত্বের দিকে ধাবিত হয়েছিল।

(বিশেষ করে ইথিওপিয়ান অঞ্চলে বন্যার সময় ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খেসারির ডাল দীর্ঘদিন খেয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছিলো বহু মানুষ) 

খেসারির ডাল খেলে কি হয়?খেসারির ডালের অপকারীতা,কেনও খেসারি ডাল খাওয়া হতে বিরত থাকবেন তা নিয়ে আজকের আলোচনা।

খেসারি ডালের অপকারীতা

বাংলাদেশে বেশির ভাগ খেসারি ডাল চাষ করা হয় পশুর খাদ্যের জন্য।আর এই ডাল অনেক মানুষ তাদের নিয়মিত খাবারে নিয়ে নিছে।কিন্তু তারা জানে না যে খেসারি ডাল প্রতিনিয়ত খেলে কী সমস্যায় পড়তে পারে।

খেসারি ডালে বোয়া (BOAA) নামক এক ধরনের অ্যালাইন অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে।যা আমাদের শরীরে বিষাক্ত নিউরোটক্সিন তৈরি করতে পারে।এই বিষাক্ত নিউরোটক্সিন মানবদেহের স্নায়ুবিক বিভিন্ন সমস্যা সহ স্নায়ুবিক পঙ্গুত্ব বা প্যারালাইজড করে দিতে পারে।এই রোগকে ল্যাথাইরিজম রোগও বলা হয়ে থাকে। 

যেসব খাবারে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে     

যেসব খাবার খেলে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে  

মুগ ডালের উপকারিতা ও অপকারীতা

        

খেসারি ডাল কোনও মানুষ যদি ৬ মাসের বেশি সময় ধরে খায়, তাহলে তার ল্যাথাইরিজম রোগ হওয়ার সম্ভবনা ৮০% হয়ে যায়।এই রোগে নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয়।বিশেষকরে যাদের রক্তের গ্রুপ 'ও নেগেটিভ' ও 'ও পজেটিভ' তারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেশি।এই রোগে শিশুরা আক্রান্ত হলে তাদের মতিষ্কে সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা বেশি।    

ল্যাথাইরিজম রোগের লক্ষণ

এই রোগের লক্ষণ হটাৎ করেই প্রকাশ হতে থাকে।নিচে ল্যাথাইরিজম রোগের কিছু লক্ষণ দেওয়া হলঃ     

  • পা অবশ হয়ে যাওয়া
  • হাঁটা-চলা করতে অসুবিধা হওয়া
  • পায়ে অধিক ব্যাথা হওয়া
  • মাংসপেশির অসরতা দেখা ও মাংসপেশি ফুলে যাওয়া
  • বিভিন্ন অঙ্গ চালনা করতে সমস্যা হওয়া
  • বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ কাঁপতে শুরু করা
  • পেশি গুলো টান টান ও শক্ত হয়ে যাওয়া
  • হাঁটুতে প্রচন্ড ব্যাথা হওয়া
এর থেকে বাঁচতে আমাদের খেসারির ডাল খাওয়া বাদ দিয়ে দিতে হবে।আর যদি খেতে চান তাহলে খেসারির ডাল গরম পানিতে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে।এতে কিছুটা বিষাক্ততা দূর হবে।এই ডাল খাওয়ার চেয়ে না খাওয়াই বেশি ভালো হবে।                                                                                 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন