চিনাবাদাম আমাদের দেশের সহজলভ্য ও উপকারি একটি খাবার।সকলের জন্য চিনাবাদাম একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার।রাস্তা-ঘাটে,খেলার মাঠে,ট্রেনে ও বাসে এই চিনাবাদাম পাওয়া যায়।

চিনা বাদামের উপকারিতা,চিনাবাদাম এর উপকারিতা,খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা,চিনা বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা,চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা,চিনা বাদামের পুষ্টিগুণ,


চিনাবাদাম পুষ্টি গুণে ভরপুর একটি খাবার।আমরা শুধু চিনাবাদাম খাই কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে জানি না।আজকে আমরা আলোচনা করব চিনাবাদাম এর সকল বিষয় নিয়ে। 

চিনা বাদামের পুষ্টিগুণ 

চিনা বাদামে অনেক পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।নিচে কিছু পুষ্টি উপাদান দেওয়া হলোঃ

  • প্রোটিন
  • শর্করা
  • ক্যালোরি
  • চিনি
  • ফাইবার
  • ম্যাগনেশিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • আয়রন
  • জিংক
  • এন্টি অক্সিডেন্ট 
  • ফসফরাস
  • ভিটামিন 'ই' 
  • ভিটামিন 'বি' 
  • সোডিয়াম
  • কপার
  • নিয়াসিন
  • ক্যালসিয়াম
  • লৌহ
  • ফোলেট
  • ফ্যাট

চিনা বাদামের উপকারিতা 

চিনাবাদাম আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকারিতা বয়ে আনে।নিচে কিছু চিনাবাদামের উপকারিতা দেওয়া হলোঃ

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ।এই রোগে আক্রান্ত হলে বেশির ভাগ মানুষই মৃত্যুবরণ করে।ক্যান্সার হয়ে গেলে বাদাম খেয়ে তেমন কোনও লাভ নাই।কিন্তু ক্যান্সার হওয়ার আগে প্রতিনিয়ত বাদাম খেলে ক্যান্সার এর কোষকে ধ্বংস করা যায়।

বাদামে থাকে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট।যা ক্যান্সার কোষকে সহজেই ধ্বংস করে থাকে।এছাড়াও বাদামে থাকা বিভিন্ন মিনারেল আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

আমাদের বয়স একটু ভারী হলেই ডায়াবেটিস আমাদের ওপর চেপে বসে।সকলেই এই রোগে আক্রান্ত না হলে কিছু মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়।আমাদের দেহে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।বাদামে থাকা প্রোটিন ও ফ্যাট ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।প্রতিনিয়ত বাদাম খেলে খুব সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

যেসব খাবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
     

হাড়কে শক্তিশালী করে

আমাদের দেহের হাড় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে অন্যতম।সঠিকভাবে চলাচলের জন্য হাড়কে শক্তিশালী ও সতেজ রাখতে হবে।

হাড়কে শক্তিশালী ও সতেজ রাখতে প্রয়োজন ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের।বাদামে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায়।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে কেউ প্রতিদিন ৫০ গ্রাম পরিমাণ  চিনা বাদাম খেলে তার হাড়ের সমস্যা হওয়ার কোনও সম্ভবনা নেই। 

কাঁচা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা,চিনা বাদামে কত ক্যালরি,গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা,সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা,চিনা বাদামের পুষ্টি উপাদান,চিনা বাদাম খাওয়ার অপকারিতা,


হার্টের সমস্যা দূর করে

হার্টের বা হৃৎপিন্ডের সমস্যা হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল।হার্টের সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা।বাজে কোলেস্টেরল এর মাত্রা যাতে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বাদামে রয়েছে নিয়াসিন,কপার ও এন্টিঅক্সিডেন্ট।যা আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল গুলোকে ধ্বংস করে।প্রতিনিয়ত বাদাম খেলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হার্টের রোগীর খাবার তালিকা
    

যৌন দূর্বলতা দূর করে

বর্তমান সময়ে কমন একটা সমস্যা হচ্ছে যৌন দূর্বলতা।বেশির ভাগ পুরুষ এই সমস্যায় ভূগে থাকে।

বাদাম খেলেই যে আপনার যৌন দূর্বলতা দূর হবে তা কিন্তু নয়।অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন।ঔষধ এর সাথে বাদাম খেলে দ্রুত ফল পাবেন।কারণ এটি একটি জটিল সমস্যা।

চিনাবাদাম এর মধ্যে অরিজিন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে।এই অরিজিন দ্রুত লিঙ্গ উত্থান সমস্যাকে দূর করে। 

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

ফাস্ট ফুড হিসেবে অন্য কোনও খাবারের পরিবর্তে বাদাম খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।ফাস্ট ফুড বেশি খেলে শরীরের ওজন দ্রুত বেড়ে যায় আর বাদাম খেলে শরীরের ওজন কমে যায়।

প্রতিনিয়ত বাদাম খেলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।এতে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হতে পারে না।ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।  

হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় 

হজমশক্তি কমে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।এছাড়াও পেটের গ্যাস্ট্রিক জাতীয় সমস্যা হতে পারে।হজমশক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে ফাইবার।বাদামে প্রচুর পরিমানে ফাইবার বিদ্যমান থাকে।বাদাম খেলে হজমশক্তির সমস্যা হবে না।   

মতিষ্ককে শক্তিশালী করে

চিনা বাদামে থাকা ভিটামিন 'বি' আমাদের ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।প্রতিদিন বাদাম খেলে মতিষ্ক শক্তিশালী ও সতেজ থাকে। 

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির খাদ্য তালিকা
    

সকলে খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা  

সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে পেটের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যাবে।সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর হবে ও হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।এছাড়াও শরীরের ওজন কমে যাবে।

চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

চিনা বাদাম ভিজিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।এজন্য কাঁচা চিনা বাদাম দরকার হবে।রাতের বেলা চিনা বাদাম ভিজিয়ে রাখতে হবে ও সকালে খেতে হবে।ভিজিয়ে খেলে শারীরিক দূর্বলতা দূর হয়,শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় ও যৌন দূর্বলতা দূর হয়।  

চিনা বাদামে কত ক্যালরি

চিনা বাদামে ভালো পরিমাণ ক্যালরি বিদ্যমান থাকে।অনেকেই জানতে চায় চিনা বাদামে কত ক্যালরি বিদ্যমান।১০০ গ্রাম চিনা বাদামে ৫৭০ ক্যালরি বিদ্যমান থাকে। 

আশাকরি সকলেই চিনা বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।                    

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন