প্রাচীন কাল থেকেই একটি জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে খেজুর।খেজুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু একটি খাবার।বেশিরভাগ মানুষ খেজুর খেতে খুব ভালোবাসে।কিন্তু প্রতিনিয়ত খেজুর খাওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা,খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা,খেজুর খাওয়ার নিয়ম,সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা,খেজুর বেশি খেলে কি হয়,খেজুরের রসের উপকারিতা,খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম,সেক্সে খেজুরের উপকারিতা,


প্রতিনিয়ত খেজুর খেলে এর অনেক উপকারীতা পাবেন।আমরা রমজান মাস আসলে যথেষ্ট পরিমাণ খেজুর খেয়ে থাকি।আমরা অনেকে খেজুর খাই কিন্তু খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানি না।আজকে আমরা খেজুরের উপকারিতা,পুষ্টিগুণ,কতটুকু খেতে হবে,কোন সময় খেতে হবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানব।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান

খেজুর পুষ্টিগুণ অনেক।নিচে খেজুরে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান গুলো দেওয়া হলোঃ

  • শক্তি
  • শর্করা
  • প্রোটিন 
  • ভিটামিন 'এ'
  • ভিটামিন 'বি'
  • ভিটামিন 'সি'
  • ভিটামিন 'ই'
  • ভিটামিন 'কে'
  • ক্যালসিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • এন্টিঅক্সিডেন্ট
  • সোডিয়াম 
  • ফাইবার
  • আয়রন 
  • ফসফরাস
  • জিংক
  • লৌহ
  • ফোলেট
  • পানি 

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

১. খেজুরে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে।যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।ফলে সহজে যেকোনও রোগ আমাদের শরীরে আক্রমণ করতে পারে না।

২. খেজুরে ভালো পরিমাণ আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে,যা শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে কাজ করে।যাদের রক্তস্বল্পতা রোগ আছে তাদের জন্য খেজুর একটি আদর্শ খাবার হতে পারে।

৩. অনেকে মিষ্টি খেতে কম ভালোবাসে।মিষ্টির পরিবর্তে খেজুর খেতে পারেন।

৪. অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব জ্বালাতন করে।খেজুরে থাকা ফাইবার ও পানি সঠিক প্রক্রিয়ায় খাদ্য হজম করে।এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।প্রতিনিয়ত খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।

৫. অনেকে উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভূগে থাকে।উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেজুর খেতে পারেন।খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আপনার উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

৬. অনেকের চোখের দৃষ্টিশক্তি সমস্যা রয়েছে।ভালোমতো দূরের বস্তুু দেখতে পায় না।তারা দৃষ্টিশক্তি সমস্যা  দূর করতে খেজুর খেতে পারেন।খেজুর থাকা ভিটামিন 'এ' ও ভিটামিন 'কে' আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করবে।   

৭. অনেকে অল্প কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।যাদের এ সমস্যা আছে তারা প্রতিনিয়ত খেজুর খেতে পারেন।খেজুরে থাকা শক্তি ও শর্করা আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করে কাজ করার শক্তি যোগাবে।

৮. ওজন হ্রাস করতে চাইলে খেজুর খেতে পারেন।খেজুর খেলে আপনার ক্ষুদা কম লাগবে।এতে কম খাদ্য গ্রহণ করবেন।খেজুরে থাকা কার্বোহাইড্রেট আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরিয়ে রাখবে ও প্রয়োজনীয় শক্তি শরীরে যোগাবে।কম খাদ্য গ্রহণ করার ফলে কম ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করবে।এতে ওজন হ্রাস পাবে।  

৯. খেজুর খেলে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস হয়।খেজুরে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে।এজন্য প্রতিনিয়ত খেজুর খেতে হবে। 

১০. হার্টকে শক্তিশালী করতে খেজুর খান।খেজুর থাকা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ আমাদের হৃৎপিন্ডকে সুস্থ ও সবল রাখে।এতে হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।  

সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা 

সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারীতা অনেক।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে,ওজন হ্রাস পাবে,শারীরিক দূর্বলতা দূর হবে ও বিভিন্ন রোগ হতে মুক্তি লাভ করবে।

খেজুর খেলে কি বীর্য ঘন হয়,গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়,খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়,খেজুরের পুষ্টি উপাদান,শুকনো খেজুরের উপকারিতা,খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা,দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত,খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা,


খেজুর বেশি খেলে কি হয়

অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভালো না।তাই অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া মোটেও ভালো না।অতিরিক্ত খেজুর খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে,শরীরে ডায়াবেটিস থাকলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে,বদ হজম হয়ে ডায়রিয়া হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয় 

গর্ভবতী নারীদের জন্য খেজুর অনেক উপকারী খাবার হবে।কারণ খেজুর পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকে।গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের প্রচুর পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়।তাই এই সময় খেজুর খাওয়া উত্তম কাজ।

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়

খেজুর যেহেতু একটু বেশি পুষ্টিগুণে ভরপুর সেহেতু খেজুর সঠিক সময়ে খেলে আরও ভালো উপকারীতা পাওয়া যায়।খেজুর সকালে খালি পেটে ও রাতে খাওয়ার পর খেতে হয়। 

শুকনো খেজুরের উপকারিতা

শুকনো খেজুর ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশ উপকারী।শুকনো খেজুর খেলে ডায়াবেটিস এ তেমন কোনও প্রভাব পড়ে না।ডায়াবেটিস রোগীরা শুকনো খেজুর খেতে পারেন।  

খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা 

খেজুর ভিজিয়ে খেলে ভালো পরিমাণ উপকারিতা পাওয়া যায়।এজন্য রাতের বেলা দুধের মধ্যে খেজুর ভিজিয়ে রাখতে হবে।ভেজা খেজুর খেতে স্বাদ একটু ভালো করে।ভেজা খেজুর খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।ভেজা খেজুর পেটের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ও বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। 

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত 

খেজুরের এতো উপকারিতা দেখে ভুলেও অতিরিক্ত খেজুর খেতে যাবেন না।এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।বিভিন্ন পুষ্টিবিদদের মতে,দৈনিক ২-৩ টি খেজুর খাওয়া উত্তম।এর বেশি খেলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়বেন। 

খেজুর খেলে কি বীর্য ঘন হয়

খেজুর খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়।এজন্য রাতের বেলা দুধের মধ্যে খেজুর ভিজিয়ে রাখতে হবে ও সকালে খেতে হবে।খোরমা খেজুর খেলে পাতলা বীর্য ঘন হয়।

আজকের এই পোস্ট হতে আপনারা খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।পোস্টটি ভালো লাগলে আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।                           

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন