আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখা ও চালনার জন্য দরকার শক্তি।এই শক্তি আমাদের শরীর বিভিন্ন খাদ্য হতে সংগ্রহ করে।শুধু আজেবাজে খাদ্য হলে হবে না দরকার হবে সঠিক ও সুষম খাদ্যের।  

সুষম খাদ্য কাকে বলে,সুষম খাদ্য তালিকা,সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি,সুষম খাদ্য কি,সুষম খাদ্য অনুচ্ছেদ,সুষম খাদ্য কয়টি ও কি কি,সুষম খাদ্য,সুষম খাদ্য কেন প্রয়োজন ব্যাখ্যা কর,সুষম খাদ্যের ছবি,সুষম খাদ্য পিরামিড,সুষম খাদ্য বলতে কি বুঝ,দুধকে সুষম খাদ্য বলা হয় কেন,সুষম খাদ্যের বৈশিষ্ট্য,সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন,সাপ্তাহিক সুষম খাদ্য তালিকা,দৈনিক সুষম খাদ্য তালিকা,

    

সুষম খাদ্য কাকে বলে

যে খাদ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ৬ টি খাদ্য উপাদান (শর্করা,আমিষ,চর্বি,ভিটামিন,খনিজ পদার্থ ও পানি) বিদ্যমান তাকে সুষম খাদ্য বলে।সুষম খাদ্যের উপাদান ৬ টি।

সুষম খাদ্য তালিকা

একজন সুস্থ মানুষের জন্য সুষম খাদ্য খুবই জরুরী।আমরা সুস্বাদু খাবার সামনে দেখলেই সুষম খাদ্যের কথা ভুলে যাই।শুধু আজেবাজে খাদ্য খেতেই থাকি।এতে করে আমরা খাদ্য তো ঠিকই খাই কিন্তু শরীরের জন্য কোনও উপকার হয় না।সুস্থ সবল ও রোগমুক্ত জীবনযাপন করতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খাদ্যের ৬ টি উপাদান সঠিক অনুপাতে থাকা আবশ্যক।নিচে সুষম খাদ্যের একটা তালিকা দেওয়া হলঃ

শর্করা জাতীয় খাবার তালিকা 

যেসকল খাদ্য হতে আমাদের শরীর শক্তি সঞ্চয় করতে পারে তাকে শর্করা জাতীয় খাবার বলে।অন্যভাবে বলতে গেলে যেসব খাবারে চিনি,আঁশ ও শ্বেতসার উপস্থিত তাকে শর্করা জাতীয় খাবার বলে।শর্করা আমাদের দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখে ও দ্রত হজম সহায়তা করে ফলে আমরা শর্করা জাতীয় খাবার হতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি পেয়ে থাকি।নিচে কয়েকটি শর্করা জাতীয় খাবার দেওয়া হলঃ

  • ভাত
  • আলু
  • আটা
  • পাস্তা
  • চিনি 
  • মুড়ি

আরও পড়ুন 

    

  

আমিষ জাতীয় খাবার তালিকা

সুষম খাদ্য কাকে বলে,সুষম খাদ্য তালিকা,সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি,সুষম খাদ্য কি,সুষম খাদ্য অনুচ্ছেদ,সুষম খাদ্য কয়টি ও কি কি,সুষম খাদ্য,সুষম খাদ্য কেন প্রয়োজন ব্যাখ্যা কর,সুষম খাদ্যের ছবি,সুষম খাদ্য পিরামিড,সুষম খাদ্য বলতে কি বুঝ,দুধকে সুষম খাদ্য বলা হয় কেন,সুষম খাদ্যের বৈশিষ্ট্য,সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন,সাপ্তাহিক সুষম খাদ্য তালিকা,দৈনিক সুষম খাদ্য তালিকা,


যেসব খাদ্য খেলে আমাদের দেহের সঠিক বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়পূরণ হয় তাকে আমিষ জাতীয় খাবার বলে।আমিষ জাতীয় খাবার দুই ধরনের হয়। প্রাণিজ আমিষ ও উদ্ভিদ আমিষ।নিচে কিছু আমিষ জাতীয় খাবার দেওয়া হলোঃ

  • মাছ
  • মাংস
  • দুধ
  • ডিম
  • ডাল 
  • শিমের বিচি

স্নেহ/চর্বি জাতীয় খাবার তালিকা

যেসকল খাদ্য আমাদের শরীরের তাপশক্তি,কর্মশক্তি,ত্বক মসৃণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তাকে স্নেহ জাতীয় খাবার বলে।স্নেহ জাতীয় খাবার দুই ধরনের হয় প্রাণিজ স্নেহ ও উদ্ভিদ স্নেহ।নিচে কিছু স্নেহ জাতীয় খাবার দেওয়া হলঃ 

  • চর্বি
  • ঘি
  • মাখন
  • বাদাম
  • তেল

ভিটামিন জাতীয় খাবার তালিকা

যেসকল খাদ্য শরীরের সঠিক বৃদ্ধি,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত করে তাকে ভিটামিন জাতীয় খাবার বলে।ভিটামিন কয়েক প্রকারের হয়- 

  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন বি
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন ডি
  • ভিটামিন ই
  • ভিটামিন কে
  • ভিটামিন পি  

নিচে কিছু ভিটামিন জাতীয় খাবার দেওয়া হলোঃ

  • বাঁধাকপি
  • ফুলকপি
  • পালংশাক
  • ছাগলের কলিজা
  • শালগম
  • সয়াবিন তেল
  • গাজর

খনিজ পদার্থ জাতীয় খাবার তালিকা

যেসকল খাদ্য আমাদের শরীরের হাড় ও দাঁতকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে তাকে খনিজ পদার্থ বলে।খনিজ পদার্থের মধ্যে অন্যতম উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন।নিচে কিছু খনিজ পদার্থ জাতীয় খাদ্য দেওয়া হলোঃ

  • টুনা মাছ
  • ডিম  
  • মুরগির মাংস
  • মিষ্টি কুমড়ার বিচি
  • বাদাম  
  • শস্যদানা

পানি

পানির অপর নাম জীবন।সঠিকভাবে খাদ্য হজম ও দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য পানি অত্যন্ত জরুরী।সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।

দৈনিক সুষম খাদ্য তালিকা

শুধু সুষম খাদ্য হলেই হবে না খাদ্য খেতে হবে নিয়ম মাফিক।সঠিকভাবে খাদ্য গ্রহণের জন্য নিচে একটা তালিকা দেওয়া হলঃ

সকালের সুষম খাবার

সকালবেলার খাবার সকাল ৮টা থেকে ৯ টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে।সকালে নাস্তা হিসেবে রুটি,পরোটা,মুড়ি,খিচুরি ও পাউরুটি খেতে পারেন।আর ভাত খেতে চাইলে ডিম বা আলুর ভর্তা দিয়ে খেতে পারেন।এতে শর্করার চাহিদা পূরণ হবে।

দুপুরের সুষম খাবার

দুপুরের খাবার দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে খেতে হবে।দুপুরে খাবার হিসেবে ভাত,মাছ,দুই এক টুকরা মাংস,ডাল ও সবজি মিলে খেতে পারেন।

রাতের সুষম খাবার

রাতের খাবার রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।রাতের খাবারে ভাত,মাছ,শাক সবজি খাবেন।রাতে বিশেষ খাবার হিসেবে এক গ্লাস দুধ ও কিছু টাটকা ফলমূল রাখার চেষ্টা করবেন।

উপরে দেখানো খাদ্যগুলো কেউ সঠিক নিয়মে খেলে তার সুষম খাদ্যের চাহিদা অবশ্যই পূর্ণ হবে।আর প্রত্যেকবার খাদ্য গ্রহণের পর অবশ্যই প্রচুর পরিমানে পানি পান করবেন।                    

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন