পেটের মেদ কমানোর উপায়
পেটের মেদ কমানোর উপায় |
মেদ কী
আমাদের শরীরের চামড়ার ভিতর বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য চর্বি জমতে শুরু করে।অনেকগুলো চর্বি একত্রে জমা হলেই তাকে মেদ বলে।
পেটের মেদ বাড়ার কারণ
আমাদের অধিকাংশ মানুষেরই এখন একটা সমস্যা হচ্ছে পেটে মেদ জমে যাওয়া।যার ফলে আমাদের ভূড়ি চলে যায় সামনের দিকে।পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে মেদ জমার কারণে একজন মানুষ দিন দিন মোটা হতে থাকে ও তার ওজন অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়।এজন্য সে কায়িকশ্রম করতে পারে না।কায়িক শ্রম না করার ফলে লোকটি দিন দিন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে।অতিরিক্ত ওজন হওয়ার কারণে হৃদ রোগ,ডায়াবেটিস ও স্ট্রোক এর মতো রোগের ঝুঁকিতে ভুগেন।এটা অনেক বাচ্চাদের পেটের মধ্যেও দেখা যায়।এটা হওয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও সঠিক নিয়ম কানুন এর অভাব।কিছু কার্যকরী উপায় মেনে চললেই এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন
যেসব খাবারে মেদ বারে
অতিরিক্ত পরিমাণে মদ পান করা,মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া,তেলে ভাজা জাতীয় জিনিস (পরটা,সিংরা,সমস্য, মগলাই) অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া,গরুর মাংস ও চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেটের মেদ বেড়ে যায়।
অন্যান্য যেসব কারণে মেদ বাড়তে পারে
যারা সারাদিন ধরে অফিসে ও বিভিন্ন কর্মস্থানে কাজ করেন।তাদের সারাদিনের প্রতিটা ঘণ্টায় বসে থাকতে হয়।তারা হাঁটা-চলা করার তেমন একটা সুযোগ পায় না।যার কারণে তাদের পেটের মেদ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
দ্রুত মেদ কমানোর উপায় |
পেটের মেদ কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়
- আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফাইবারযুক্ত বা আঁশযুক্ত খাবার রাখেন।ফাইবার যুক্ত খাবার দ্রুত শর্করা ও চর্বি ভেঙ্গে খাদ্য হজমে সহায়তা করে।ফাইবারযুক্ত খাবার গুলো হলো - মৌসুমি বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলমূল।শাক-সবজি বা ফলমূল যেকোন ও একটা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখবেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করুন।প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করবেন।এতে দেহের আরও অন্যান্য রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।পানি সঠিক মাত্রায় পান করার ফলে দেহ হতে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়।দৈনিক ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করার চেষ্টা করবেন।
- আমরা অনেকে খাবার দেখলেই হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলি।যার ফলে পেট পুড়া ফুলে যায়।এতে খাদ্য হজমে নানারকম সমস্যা হয়।যার ফলে পেটে মেদ জমতে শুরু করে।তিনবারের খাবার কখনো দুই বারে খেতে যাবেন না।আপনারা তিন বারের খাবার পাঁচবারে খাবেন অল্প অল্প করে।এতে হজম ঠিকভাবে হবে ও মেদ ও জমবে না।
- রাতেরবেলা খাওয়ার পর সাথে সাথে ঘুমাতে যাবেন না।এটা অনেকেরই একটা বদঅভ্যাস।সাথে সাথে ঘুমাতে গেলে হজমে সমস্যা হবে।এতে পেটের মেদ বেড়ে যেতে পারে।এজন্য রাতে খাওয়ার পর আধা ঘণ্টার মতো হাঁটাচলা করে নিবেন।তারপর ঘুমাতে যাবেন।
- প্রোটিন যুক্ত খাবার খান।প্রোটিন দেহের চর্বি ভেঙ্গে হজমে সহায়তা করে।এছাড়াও প্রোটিন রক্তে শর্করা ও চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- যারা সারাদিন চেয়ার-টেবিলে বসে থাকে তাদের মেদ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। এজন্য যখনই সুযোগ পাবেন একটু হাঁটা-চলা করে নিবেন।সকালবেলা অফিসে রিক্সায় না গিয়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।এতে আপনার শরীরের মেদ বাড়বে না বরং কমতে শুরু করবে।
মেদ কমানোর ব্যায়াম - পেটের মেদ কমানোর একটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে প্রতিদিনের সঠিক ব্যায়াম।শুধু ব্যায়াম করলেই মেদ কমবে না।এমন ব্যায়াম করতে হবে যাতে পুরো শরীর ঝাঁকতে থাকে ও পেটের উপর পেসার পড়ে।
- মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে আপনার মেদ বেড়ে যেতে পারে।অতিরিক্ত চিন্তার ফলে আপনার খাদ্য হজমসহ আরও নানারকম সমস্যার সমুখীন হতে পারেন।অতিরিক্ত চিন্তার ফলে আপনি সঠিকভাবে খেতে ও পারবেন না।মেদ কমাতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে চিন্তামুক্ত জীবণযাপন করতে হবে।
- পেটের মেদ কমাতে প্রতিদিন একটি করে শসা খান।শসাতে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও প্যানটোথনিক অ্যাসিড আছে।যেগুলো পেটের চর্বি ধ্বংস করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
- প্রতিদিনের খাবারের পর তাজা ফলমূল খান।
উপরে দেখানো নিয়ম গুলো কেউ যদি ১৫ দিন ধরে সঠিকভাবে করে তাহলে তার পেটের মেদ কমাতে সক্ষম হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন